- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
গত মাসে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ফলে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি প্রায় এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। বুধবার (২ জুলাই, ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল এই তথ্য জানান।
শন পারনেল অবশ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবিকে পুনর্ব্যক্ত করেননি যে, ইরানের মূল পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ১ থেকে ২ বছর পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি এই মূল্যায়নের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
শন পারনেলের এই অনুমান ট্রাম্পের বক্তব্যের চেয়ে অনেকটাই পরিমিত। এর আগে একটি নিম্ন-আত্মবিশ্বাসী প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (DIA) রিপোর্ট প্রাথমিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছিল যে, ইরানের কর্মসূচি কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে নতুন নতুন গোয়েন্দা মূল্যায়ন আসায় পরিস্থিতি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, ফোরদো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের মূল সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, যদিও স্থাপনাটি নিজে ধসে পড়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে, এই হামলার প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে নিরপেক্ষ মূল্যায়ন এখনও সম্ভব হয়নি। স্যাটেলাইট চিত্রে কিছু ক্ষতির আভাস মিললেও, ভূগর্ভস্থ ফোরদো স্থাপনাসহ অনেক কিছুর প্রকৃত অবস্থা চোখের আড়ালে থেকে গেছে। জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ'র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইউরেনিয়াম বহনকারী কন্টেইনারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে, যা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে পারে।
যুদ্ধের পর ইরান আইএইএ-র সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করেছে। ইরানের অভিযোগ, সংস্থাটি ইসরায়েলকে গোপনে তথ্য সরবরাহ করেছে, যদিও আইএইএ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।