- ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দেখতে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন।
জুবাইদা রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁর গাড়ি এভারকেয়ারের ইমার্জেন্সি প্রবেশপথে পৌঁছালে পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরে তিনি বিশেষ লিফট ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার কক্ষের দিকে যান।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ দলটির শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে এবং মেডিকেল বোর্ড অনুমতি দিলে আগামী রোববার তাঁকে সেখানে নেওয়া হতে পারে। তবে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় যাত্রা এক দিন পিছিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি, তবে সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার আসার কথা। তিনি বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ও বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে ৭ তারিখেই লন্ডনে নেওয়া হবে।”
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়লে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা কিছুটা কমলেও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা এখনো স্থিতিশীল নয়।
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশের সব মসজিদে দোয়ার আয়োজন করেছে বিএনপি। পাশাপাশি মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়েও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও একই আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালের সামনে সকাল থেকেই বিএনপির নেতা–কর্মী, সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক উন্নতির জন্য দেশব্যাপী উদ্বেগের পাশাপাশি প্রার্থনার ঢল নেমেছে।