Tuesday, October 14, 2025

কাবুলে পাকিস্তান-চীন-আফগানিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠক, আঞ্চলিক কূটনীতিতে নতুন সমীকরণ


ছবিঃ ২০ আগস্ট কাবুলে চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ত্রিপক্ষীয় সংলাপের জন্য মিলিত হন ওয়াং ই, আমির খান মুত্তাকি এবং ইশাক দার (সংগৃহীত । হ্যান্ডআউট/পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় )

ইসলামাবাদ, পাকিস্তান – বুধবার কাবুলে এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হয়েছেন পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। করমর্দন ও সামান্য হাসির মধ্য দিয়ে বৈঠক শুরু হলেও আলোচনার মূল বিষয় ছিল আঞ্চলিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা।

এটি গত ১২ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো এমন বৈঠক। মে মাসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকের পর এই আলোচনা নতুন মাত্রা পেল। ওই বৈঠকের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের কথাও আলোচনায় আসে। সিপিইসি হলো চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি বড় অংশ, যা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে ঘিরে চীনের এই কূটনৈতিক উদ্যোগে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ঝুঁকি বিদ্যমান। বিশেষ করে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসবাদবিরোধী চ্যালেঞ্জ চীনের অর্থনৈতিক বিনিয়োগকে প্রভাবিত করতে পারে।

এদিকে, আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন সমীকরণও তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তান একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, অপরদিকে চীন আবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। ভারতও আফগান তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ গভীর করছে। ফলে বেইজিং, ইসলামাবাদ ও কাবুলের বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, চীন এই উদ্যোগে সক্রিয় থাকলেও, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিশ্বাসঘাটতি মেটানো সহজ কাজ নয়। তাই কাবুল বৈঠক আঞ্চলিক স্থিতিশীmলতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও এর বাস্তব প্রয়োগ এখনও সময়সাপেক্ষ।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন