- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
কানাডার রকি পর্বতবেষ্টিত শান্ত শহরে (Name of the city) চলমান জি-৭ সম্মেলনে উত্তাল আবহ তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্মেলন ত্যাগ করেছেন তিনি।সোমবার রাতে সম্মেলনস্থল ছেড়ে যাওয়ার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের অটোমোবাইল ও বিমান শিল্প যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে শুল্ক ছাড় পাবে, যা ব্রিটিশ শিল্প খাতের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এক সুবিধা।সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ছিল শীর্ষ এজেন্ডায়। ট্রাম্প এক চড়া হুঁশিয়ারিতে বলেন, “তেহরানকে এখনই পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে, না হলে খুব দেরি হয়ে যাবে।” তিনি দাবি করেন, ইরান আলোচনায় বসতে আগ্রহী, কিন্তু কোনো সমঝোতায় না পৌঁছানোয় ইসরায়েল আগেই হামলা শুরু করেছে।সম্মেলনের আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, “আমরা এক ভাঙনের যুগে দাঁড়িয়ে আছি। এই মুহূর্তে ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। (Where to end the double quotation) বিশ্বনেতারা এক যৌথ কৌশল খুঁজতে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বিশেষ করে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারা এক ঘন্টা স্থায়ী একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নেন, যেখানে ইরানকে পারমাণবিক ক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার উঠে আসে।সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও স্টারমার যুক্তরাজ্যের গাড়ি ও অ্যারোস্পেস পণ্য আমদানিতে শুল্ক হ্রাস সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। যদিও ইস্পাত খাত নিয়ে আলোচনা এখনো অসম্পূর্ণ, তবে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েসসহ অন্যান্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের ছাড় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, “এই চুক্তি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।” স্টারমার একে “দুই দেশের শক্তির প্রকাশ” বলে উল্লেখ করেন।সম্মেলনের সবচেয়ে বিতর্কিত বক্তব্য আসে ট্রাম্পের কাছ থেকে, যেখানে তিনি বলেন, “জি-৭ এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। সময় এসেছে রাশিয়া ও চীনকে ফের অন্তর্ভুক্ত করার।২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়াকে বাদ দেওয়া ছিল “একটি ঐতিহাসিক ভুল”—এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “আমার প্রেসিডেন্সির সময় রাশিয়া থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ হতো না।চীনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও ট্রাম্প বলেন, “আমি আপত্তি করব না, চীনকেও নেয়া যেতে পারে। নেতৃত্ব পর্যায়ে কথা বলার সুযোগ থাকা জরুরি।ট্রাম্পের একের পর এক মন্তব্য ও হঠাৎ সম্মেলন ত্যাগ জি-৭ এর ভবিষ্যৎ, পশ্চিমা ঐক্য এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে যখন যুদ্ধের ঝুঁকি ঘনিয়ে আসছে, অন্যদিকে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও নেতৃত্বের ধারা কোন পথে মোড় নেয়, তা আগাম বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।ছবিঃইন্টারনেট হতে সংগৃহীত(17/06/2025)