- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
দুই হাজার তিন সালের পর প্রায় তিন দশক ধরে লাইভপারসনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রবার্ট লোকাশিও এবার নতুন উদ্যোগে নেমেছেন। দুই হাজার চব্বিশ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইটারনোস, একটি লিগ্যাসি সেবা যা মানুষের জীবনের গল্প এবং কণ্ঠ সংরক্ষণ করে প্রিয়জনদের জন্য ডিজিটালভাবে রেখে দেয়। পরে কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে ইউআর.এআই রাখা হয় এবং সম্প্রতি তারা দশ মিলিয়ন তিন লাখ ডলার সিড ফান্ডিং সংগ্রহ করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে মেইফিল্ড এবং বোল্ডস্টার্ট ভেঞ্চারস।
মূল ধারণা হলো হিউম্যান লাইফ মডেল (এইচএলএম) এটি ব্যক্তির নিজস্ব তথ্য ব্যবহার করে তার জীবনকাহিনি, মূল্যবোধ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরন ধরা হয়, সাধারণ বড় ভাষার মডেলের (এলএলএম) তথ্যের উপর নির্ভর না করে। লোকাশিও জানিয়েছেন, এটি ব্যবহার করে কেউ তার পেশাগত বা ব্যক্তিগত কাজে নিজের ব্যক্তিগত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে পারবেন।
ইউআর.এআই প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা তাদের জীবনসংক্রান্ত তথ্য, গল্প এবং পেশাগত অভিজ্ঞতা প্রদান করে তাদের এইচএলএম তৈরি করবেন। লোকাশিও বলেন, “প্রথম ধাপ হলো মানুষের জীবনকাহিনি জানা। আপনি কোথা থেকে এসেছেন? আপনার শৈশবের কোনো গল্প বলুন। জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের কথা শেয়ার করুন।”
উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারীর সম্পূর্ণ দক্ষতা ধারণ করবে এবং কন্টেন্ট তৈরি, গ্রাহক সেবা, প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যাবে। অন্যান্য চ্যাটবট বা চরিত্রভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নয়, ইউআর.এআই-এর মডেল কোনো তথ্য না থাকলে কেবল বলবে, “আমি জানি না।”
কোম্পানি আশা করছে সাবস্ক্রিপশন ফি অথবা ব্যবহারকারীর ডিজিটাল প্রতিরূপ থেকে আয় থেকে কমিশন নিয়ে রাজস্ব তৈরি করা যাবে। মেইফিল্ড-এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার নাভিন চাড্ডা জানিয়েছেন, ইউআর.এআই-এর বড় শক্তি হলো এটি বিশেষভাবে পেশাজীবী এবং সৃজনশীল ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।
ইউআর.এআই-এর নতুন উদ্যোগ ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে।