- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে রাজনীতির ধরন ও উপস্থিতি নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি, উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ বৈঠকে স্পষ্টভাবে হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত—দুই ধরনের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানায়। তাদের সমর্থন জানায় ছাত্র অধিকার পরিষদ। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হলে “সুস্থধারার” রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে মত দেয়, তবে গুপ্ত রাজনীতির বিরোধিতা করে। ইসলামী ছাত্রশিবির কৌশলগত অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব করে।
বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর একটি অংশ, বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বৈঠকে শিবিরের উপস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করে। তাদের অভিযোগ, ’৯০-এর দশকে যে সিদ্ধান্তে শিবিরকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা উপেক্ষা করে প্রশাসন তাদের স্বাভাবিকভাবে মেনে নিচ্ছে।
বৈঠক শেষে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আমরা চাই হলে ও ক্যাম্পাসে এমন এক পরিবেশ তৈরি হোক, যা শিক্ষার্থীবান্ধব এবং আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।”
তবে শুক্রবার ছাত্রদলের হলে কমিটি ঘোষণার পর থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, এবং প্রশাসনের পূর্বের অবস্থান বহাল রাখার ঘোষণার পরও আজকের বৈঠকে সমাধানহীন পরিস্থিতি থেকে যাওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা বজায় রয়েছে।