- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে পূরণ করে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও তৃতীয় ম্যাচেই আলো ছড়ান ওপেনার তানজিদ হাসান। ৩৫ বলে পূরণ করেন তার টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি। সঙ্গে অপরাজিত ৩৩ রান যোগ করেন পারভেজ হোসেন, যিনি ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন।
শুধু ব্যাট হাতে নয়, ফিল্ডার হিসেবেও ইতিহাস গড়েন তানজিদ। আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে ৫টি ক্যাচ নিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার যৌথ রেকর্ড গড়েন তিনি। পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এ কীর্তি এবারই প্রথম।
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট, শরীফুল ইসলাম তুলে নেন ২ উইকেট। আইরিশ ব্যাটসম্যানরা পুরো ইনিংসে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশের পেস–স্পিন আক্রমণে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউই বড় রান গড়তে পারেননি।
ইনিংসের মাঝপথে রিশাদের গুগলি ও মোস্তাফিজের কাটারে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। শেষদিকে শরীফুলও তার ধারাবাহিক লাইন-লেন্থে তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৯ ওভারেই ১১৭ রানে থামে অতিথিদের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে সাইফ (১৯) ও লিটন (৫) দ্রুত ফিরে গেলেও কোনো প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশের রানচক্রে। তানজিদ ও পারভেজের জুটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে এই জয়কে বড় প্রেরণা হিসেবে দেখছে দল।
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস ম্যাচ শেষে বলেন, “আজকের ম্যাচ শুধু সিরিজ জয় নয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিল। বিশ্বকাপের আগে এই জয় খুবই মূল্যবান।”
চট্টগ্রামের শীতল আবহাওয়া, কম দর্শক উপস্থিতি আর দুপুরবেলার ম্যাচ সব ছাপিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল হলো ত্রয়ী সিরিজের শেষ দিন।
আয়ারল্যান্ড: ১১৭ (১৯ ওভার)
স্টার্লিং ৩৮; মোস্তাফিজ ৩–২৩, রিশাদ ৩–২১, শরীফুল ২–২৪
বাংলাদেশ: ১১৮/২ (১৩.৪ ওভার)
তানজিদ ৫২, পারভেজ ৩৩*
বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।