- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
দোহায় ফাইনাল ম্যাচ যেন লেখা হচ্ছিল রূপকথার মতোই। ৫৩ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের ‘এ’ দলের দুই শেষ ব্যাটসম্যান রিপন মণ্ডল ও আবদুল গাফফার সাকলাইনের ব্যাটে ভর করে ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়া—এ দৃশ্য ছিল অবিশ্বাস্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে পাকিস্তান শাহিনসই হাসল শেষ হাসি। রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো উদীয়মানদের এশিয়া কাপ জিতল পাকিস্তান ‘এ’ দল।
১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা আশাব্যঞ্জক হলেও হাবিবুর রহমান ফিরতেই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৩৬ রানে ছিল মাত্র এক উইকেট, কিন্তু স্কোরবোর্ড ৫৩ ছুঁতেই সাজঘরে ফেরেন আরও ৬ ব্যাটসম্যান। পরিস্থিতি তখন পুরোপুরি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে।
কিন্তু এখানেই শুরু টুইস্ট। ৯৬ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর শেষ জুটিতে রিপন ও সাকলাইন যে লড়াকু মনোভাব দেখালেন, তা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য বড় বার্তা। রিপনের ১১*(১১) এবং সাকলাইনের ১৬*(১৩) রানের আলোয় শেষ দুই ওভারে আসে ২১ রান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল একটি রান, সেটাই তুলে ম্যাচ গেল সুপার ওভারে।
তবে ভাগ্য আর সঙ্গ দিল না সুপার ওভারে। আহমেদ দানিয়ালের করা ওভারে মাত্র ৬ রান তুলেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ৭। রিপনের করা সুপার ওভারে ৪ বলেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে সাদ মাসুদ–মাজ সাদাকাত জুটি। স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের।
এর আগে পাকিস্তান শাহিনস ইনিংসে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন রিপন মণ্ডল। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। সঙ্গে রাকিবুল হাসানের ২ উইকেটে ১২৫ রানেই থামে পাকিস্তান ‘এ’ দলের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখেন হাবিবুর রহমান (২৬), রাকিবুল হাসান (২৪) ও এস এম মেহেরব (১৯)। শেষ উইকেট জুটির লড়াই যদিও ম্যাচ বাঁচিয়েছে, কিন্তু শিরোপা এনে দিতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত ফাইনালটি থেকে গেল হাজারো ‘যদি–তবে’র আফসোস নিয়ে। তবুও রিপন–সাকলাইনের লড়াই, দলীয় আত্মবিশ্বাস ও জয়ের ক্ষুধা ভবিষ্যতের পথচলায় দারুণ অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।