- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
শ্রীলঙ্কা সফরের দারুণ সফলতার পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে নতুন চ্যালেঞ্জে নেমে হাছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই লিটন দাসের দল পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের খরা কাটালো টাইগাররা। এর আগে ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে শেষবার পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ওপেনার সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস এবং অধিনায়ক সালমান আগা (৩ রান) কেউই থিতু হতে পারেননি। একপ্রান্ত ধরে রেখে ওপেনার ফখর জামান ৩৪ বলে ৪৪ রান করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন। খুশদিল শাহ ১৮ এবং আব্বাস আফ্রিদি ২২ রান করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই পাকিস্তানের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
বাংলাদেশের বোলাররা এদিন ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন। তানজিম সাকিব ও মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের শুরুতেই ধাক্কা, এরপর ইমন-হৃদয়ের অসাধারণ জুটি
১১১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশও শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম (১ রান) এবং তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক লিটন দাস (১ রান) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
তবে এরপরই ত্রাতা হয়ে আসেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং তাওহীদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। হৃদয় দুইবার জীবন পেয়ে ৩৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হলেও, পারভেজ ইমন ছিলেন অনবদ্য। মাত্র ৩৪ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ইমন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী অনিক, যিনি ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ ১৪.৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান তুলে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের পক্ষে অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জা ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল।
স্কোর সংক্ষেপ:
পাকিস্তান:
১১০ (১৯.৩ ওভারে); ফখর ৪৪(৩৪), আব্বাস ২২(২৪);
তাসকিন ৩/২২, মুস্তাফিজ ২/৬
বাংলাদেশ:
১১২/৩ (১৪.৪ ওভারে); ইমন ৫৬*(৩৯), হৃদয় ৩৬(৩৭);
সালমান মির্জা ২/১৭
ফলাফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী