- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট রিবন নিশ্চিত করেছে, সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত হ্যাকাররা প্রায় এক বছর ধরে তাদের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেছিল। বিষয়টি কোম্পানিটি গত সপ্তাহে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে দাখিল করা ১০-কিউ ফাইলে প্রকাশ করেছে।
রিবন জানিয়েছে, সন্দেহভাজন “ন্যাশন-স্টেট অ্যাক্টর” ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে কোম্পানির আইটি নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেছিল। তবে কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং হ্যাকারদের বর্তমানে নেটওয়ার্কে নেই বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
টেক্সাস ভিত্তিক রিবন ফোন, নেটওয়ার্কিং এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। কোম্পানিটির গ্রাহকের মধ্যে রয়েছে শত শত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, ফর্চুন ৫০০ কোম্পানি এবং সরকারী সংস্থা, যেমন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
কোম্পানির মুখপাত্র ক্যাথরিন বার্থিয়ার জানিয়েছেন, তিনটি গ্রাহক প্রতিষ্ঠান সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে, তবে গোপনীয়তার কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ফাইলিং অনুযায়ী, হ্যাকাররা সম্ভবত কোনো ব্যক্তিগত তথ্য বা সংবেদনশীল কর্পোরেট ডেটা সরাসরি চুরি করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে বলা হয়েছে, দুটি ল্যাপটপে সংরক্ষিত “কিছু গ্রাহকের ফাইল” হ্যাকারদের প্রবেশাধিকার পেয়েছে। এই বিষয়ে প্রভাবিত গ্রাহকদের জানানো হয়েছে।
গত দুই বছরে এটি টেলিকম খাতে হ্যাকারদের সর্বশেষ আক্রমণ। কোম্পানি সরাসরি কোনো দেশের দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
চীনের সমর্থিত হ্যাকাররা পূর্বে অন্তত ২০০টি মার্কিন কোম্পানিকে লক্ষ্য করেছে, যার মধ্যে ফোন ও ইন্টারনেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই হ্যাকার গ্রুপ, যার নাম সাল্ট টাইফুন, মার্কিন ও তার মিত্র দেশগুলোর ওপর দীর্ঘমেয়াদি নজরদারি চালাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সম্ভাব্য চীনা আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করা।
এই হামলায় এটিএন্ডটি, ভেরিজন, লুমেনসহ বিভিন্ন টেলিকম এবং ক্লাউড-ডেটাসেন্টার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রভাবিত হয়েছে। কিছু কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে, যেমন কানাডাতেও অবস্থিত।
রিবনের এই তথ্য প্রকাশে নিরাপত্তা ও সংবেদনশীল ডেটা সুরক্ষার গুরুত্ব পুনরায় সামনে এসেছে, বিশেষত সরকারি এবং বড় কর্পোরেট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে।