- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
রবিবার রাতে লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে রবার্ট লেওয়ানডোভস্কির দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ৪–২ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান কমে তিনে দাঁড়িয়েছে।
বার্সার অভিজ্ঞ পোলিশ স্ট্রাইকারের জোড়া গোলের পর টিনএজ তারকা লামিন ইয়ামাল ম্যাচে নিজের নাম তুলেন স্কোরশিটে, আর তিনটি গোলে সহায়তা করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস র্যাশফোর্ড।
ইনজুরি থেকে ফেরার পর লেওয়ানডোভস্কির যেন নতুন উদ্যমে ফিরেছেন। ম্যাচ শেষে কোচ হানসি ফ্লিক বলেন, “ইনজুরির পর আমি একদম আলাদা রবার্টকে দেখছি—মনোযোগী, আত্মবিশ্বাসী এবং ক্ষুধার্ত। আজকের হ্যাটট্রিক ওর আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়াবে।”
লোওয়ানদোভস্কিও স্বীকার করেছেন ম্যাচটি ছিল মৌসুমের অন্যতম কঠিন লড়াই। “ভিগোর বিপক্ষে খেলা সবসময়ই কঠিন হয়, কিন্তু আজকের জয়ে আমরা রিয়ালের আরও কাছাকাছি চলে এলাম,” বলেন তিনি।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেওয়ানদোভস্কি। কিন্তু এক মিনিট পরেই সেল্টা ভিগো সমতা ফেরায়। এরপর র্যাশফোর্ডের নিখুঁত ক্রস থেকে ৩৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেওয়ানদোভস্কি।
তবু ভিগো হাল ছাড়েনি—বোরহা ইগলেসিয়াস দারুণ এক শটে গোল করে আবারও স্কোরলাইন সমান করেন। তবে বিরতির ঠিক আগে র্যাশফোর্ডের ডিফ্লেক্টেড ক্রস থেকে লামিন ইয়ামাল বল পাঠান জালে, ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও বার্সা আক্রমণে আধিপত্য বজায় রাখে। ৭৩ মিনিটে র্যাশফোর্ডের কর্নার থেকে হেডে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লেওয়ানদোভস্কি। এটাই ছিল তার মৌসুমের সপ্তম লা লিগা গোল, মাত্র চার ম্যাচে শুরু করে এই কীর্তি গড়েছেন ৩৭ বছর বয়সে।
শেষ দিকে ফ্রেংকি ডি ইয়ং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও জয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি।
দিনের আগের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ রায়ো ভালেকানোর মাঠে গোলশূন্য ড্র করায় তাদের লিড কমে আসে। কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহামদের সুযোগ সত্ত্বেও জয়ের দেখা পায়নি রিয়াল।
কোচ জাবি আলোনসো ম্যাচ শেষে বলেন, “আমরা এখনো মৌসুমের প্রথম ভাগে আছি। উন্নতির জায়গা অনেক, তবে আত্মসমালোচনাও জরুরি। রিয়াল মাদ্রিদের মান ধরে রাখতে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।”
বার্সেলোনার এই জয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াই আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুই ক্লাবের ব্যবধান এখন মাত্র তিন পয়েন্ট—অর্থাৎ স্পেনের ফুটবল দুনিয়ায় নতুন করে শুরু হলো পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধ্যায়।