- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার জাহানারা আলম অভিযোগ করেছেন সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম তাকে এবং দলের অন্য নারী খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে হয়রানি করেছেন ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছেন। জাহানারা ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দায়টি অঙ্গিকারভরে তুলে ধরেন এবং জানান যে তিনি এসব বিষয়ে ২০২১-২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও নারী উইংয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন।
জাহানারা অভিযোগ করেন, মঞ্জুরুল দলের সদস্যদের “উৎসাহ দেয়ার нэр করে” অনাচার ধরনের শারীরিক স্পর্শ করতেন — আলিঙ্গন করা, বুকে টেনে ধরা সহ অনঅনুমোদিত আচরণ ঘটত। তিনি বলেছেন, এসব ঘটনা জানালেও তখন পর্যন্ত তৎপর কোনো প্রতিকার পাননি এবং তার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। বর্তমানে জাহানারা রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
অভিযোগ আমলে নিয়ে বিসিবি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট ও রাজনৈতিক মহলেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত, স্বচ্ছ তদন্তের দাবি উঠেছে।
অপর প্রান্তে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, জাহানারার সব অভিযোগই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। বর্তমানে তিনি চীনে নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে কর্মরত আছেন। মঞ্জুরুল দাবি করেন, দলের ম্যানেজার হিসেবে যা যা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য প্রয়োজন হতো তা তিনি ফিজিওর মাধ্যমে পেতেন এবং কখনোই কোনো খেলোয়াড়কে সরাসরি অনুচিত প্রশ্ন করেননি বা শারীরিকভাবে হয়রানি করেননি। তিনি আবেদনে বলেন, “আমি যে কোনো সময়ে দেশে এসে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত—যাই বলবে তাতে অংশ নেব।”
বিসিবির কাছে ২০২২ সালে জাহানারা অভিযোগমালা পাঠানোর কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন; কিন্তু মঞ্জুরুল বলেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ উঠল তা তিনি জানেন না; তার দাবি, নিজ দায়িত্বে দলকে শৃঙ্খলে রাখার কারণে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় বিসিবি কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হলো দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে তদন্ত সম্পন্ন করা এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া—এমনটাই আপেক্ষা ক্রীড়া সর্বণীকে। এখনও তদন্ত চলছে; বোর্ডের নজরে এসে তদন্ত প্রতিবেদন সামনে আসলে সেটির নানা দিক প্রকাশ করা হবে।