- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের আসরকে ঘিরে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া ও বিল পরিশোধে গাফিলতির অভিযোগে সুনাম হারিয়েছিল কয়েকটি দল। এবার তাই নতুন মৌসুমে শুরু থেকেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
১২তম বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর। বোর্ড জানিয়েছে, এবার যেসব প্রতিষ্ঠান দল পাবে, তাদের পরবর্তী পাঁচ মৌসুমে ধারাবাহিকভাবে অংশ নিতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে অংশগ্রহণ ফি ধাপে ধাপে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া, প্রতিটি মৌসুমের আগে ছয় মাসের জন্য ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মোট লভ্যাংশের ৩০ শতাংশ ভাগ পাবে। এসব শর্ত মেনে ১১টি কোম্পানি এবার দল নেওয়ার আবেদন করেছিল, যার মধ্যে রাজশাহীর জন্য দুইটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে।
তবে আগের বছরের মতো বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে, সেজন্য এবারে বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি যাচাইয়ে বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে। গতকাল বোর্ডের সভায় বিসিবির পরিচালকরা আবেদনপত্র পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে ৮টি কোম্পানিকে শর্টলিস্ট করেছে। বাদ পড়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান—মাইন্ড ট্রি, বাংলামার্ক ও এসকিউ গ্রুপ।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, “মোট ১১টি কোম্পানি আবেদন করেছিল। তাদের মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় তারা প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পায়নি। আপাতত ৮টি প্রতিষ্ঠানকে শর্টলিস্ট করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, শর্টলিস্টে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোই শেষ পর্যন্ত দল পাবে এমন নিশ্চয়তা এখনো নেই। সব কিছু নির্ধারিত হবে বিসিবির চূড়ান্ত বোর্ড সভার পর।
আগের মৌসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক অস্বচ্ছতা ও খেলোয়াড়দের পাওনা সংক্রান্ত সমস্যায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল টুর্নামেন্টটি। এবারে বিসিবি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে—যে প্রতিষ্ঠানগুলো দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করতে পারবে না, তারা বিপিএলে জায়গা পাবে না।