- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
দেশে বর্তমানে অনুমোদিত ১১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ১৭ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে শিক্ষক সংখ্যা বাড়লেও, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা পূর্ণকালীন শিক্ষকের এক-তৃতীয়াংশের বেশি, যা বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সন্তোষজনক নয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ‘৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩’ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষকের প্রায় ৭৫ শতাংশ পূর্ণকালীন এবং ২৫ শতাংশ খণ্ডকালীন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী, "কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বা প্রোগ্রামের খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা পূর্ণকালীন শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে না।"
ইউজিসি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, এই নীতি অনুযায়ী বর্ণিত বছরে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষকের তুলনায় খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, যা আইন অনুযায়ী ঠিক নয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণকালীন শিক্ষকের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫৬ জন বেড়ে ১৩ হাজার ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, খণ্ডকালীন শিক্ষকও ৩০৫ জন বেড়ে ৪ হাজার ৩১০ জন হয়েছেন।
পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে পদ অনুযায়ী সংখ্যা:
প্রফেসর: ৯৫২ জন
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর: ১ হাজার ১১৯ জন
অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর: ৩ হাজার ৪১০ জন
লেকচারার: ৭ হাজার ৪৭৮ জন
অন্যান্য: ২১০ জন
খণ্ডকালীন শিক্ষকদের মধ্যে পদ অনুযায়ী সংখ্যা:
প্রফেসর: ১,০০৭ জন
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর: ৫৯৯ জন
অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর: ৬৯৮ জন
লেকচারার: ১ হাজার ৬৫০ জন
অন্যান্য: ৩৫৬ জন