Tuesday, October 14, 2025

১২ বছর পর আর্জেন্টিনায় স্টেডিয়ামে ফিরছে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থক


ছবিঃ আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার অ্যাঞ্জেল দি মারিয়ার রোসারিও সেন্ট্রালে যোগদান আর্জেন্টিনার প্রিমেরা ডিভিশন ঘিরে উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।(মার্সেলো মানেরা/এএফপি, গেটি ইমেজের মাধ্যমে)

দীর্ঘ ১২ বছর পর আর্জেন্টিনায় পেশাদার ফুটবল ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

২০১৩ সালে স্টেডিয়ামে সহিংস ঘটনায় এক দর্শকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পরই দেশের ফুটবল লিগে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে চলমান মৌসুমে ধাপে ধাপে সমর্থকদের পুনরায় মাঠে ফেরানোর অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া একে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “এটি এমন একটি দিন, যা আর্জেন্টাইন ফুটবলে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। ক্লাবগুলো এখন চাইলে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের মাঠে আমন্ত্রণ জানাতে পারবে।”

বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার অ্যাঞ্জেল দি মারিয়ার দেশে ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত উচ্ছ্বাসও এই সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তাপিয়া।

এএফএ জানায়, দি মারিয়ার নতুন ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালের ৬,৫০০ সমর্থক এখন থেকে বুয়েনোস আইরেস শহরের লানুস স্টেডিয়ামে নির্ধারিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অতিথি গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবে। সমর্থকদের জন্য বিশেষ টিকিট ও পরিচয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে তাদের সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায়।

রোসারিও সেন্ট্রালের সভাপতি গনসালো বেলোসো সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন প্রতিপক্ষ সমর্থকদের উপস্থিতিতে দায়িত্বশীল আচরণ করে।

বুয়েনোস আইরেসের নিরাপত্তা মন্ত্রী জাভিয়ার আলোনসো বলেন, “আমরা আবার সেই পুরনো পরিবেশে ফিরতে চাই না, যেখানে সহিংসতার কারণে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের নিষিদ্ধ করতে হয়েছিল। আমাদের এই সহিংস সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ফুটবল যেন পরিবারকেন্দ্রিক একটি উৎসব হয়—পতাকা, ঢোল আর গানের মাধ্যমে।”

প্রাথমিকভাবে এই অনুমতি কেবল বুয়েনোস আইরেস প্রদেশে কার্যকর থাকবে। তবে এএফএ জানায়, দেশের অন্যান্য প্রদেশগুলোও এই পরিকল্পনায় অংশ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনাও উঠেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সতর্ক করে বলেছে, অপরাধ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে—এ অবস্থায় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের উপস্থিতি সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পেশাদার ও ঘরোয়া লিগের ম্যাচে প্রযোজ্য ছিল। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, যেমন কোপা লিবার্তাদোরেস এবং কোপা সুদামেরিকানায় আগে থেকেই প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা মাঠে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে ক্লদিও তাপিয়া বলেন, “দুই দলের সমর্থকদের উপস্থিতিতে অনেক ম্যাচ সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে। ফুটবলপ্রেমী ও সমাজ এই পরিবর্তন চায়। সে কারণেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তথ্যসুত্রঃ ই এস অই এন নিউজ

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন