- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
প্রচণ্ড সহিংস বিক্ষোভ ও সরকারের পতনের পর নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। ৭৩ বছর বয়সী এই আইনজীবী দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
সপ্তাহজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে কেন্দ্র করে তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন নিহত হন। আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর সংসদ ভবন ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিলে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পর শুক্রবার রাতে কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী বছরের ৫ মার্চ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
কার্কির নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়েছে মূলত তরুণ প্রজন্মের ‘জেন জেড’ আন্দোলনের নেতারা। তারা তাকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছে। তবে সামনে তার সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, ক্ষতিগ্রস্ত সংসদ ভবন ও দপ্তরগুলো পুনর্গঠন করা এবং সহিংসতায় দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা।
সুশীলা কার্কি আইন পেশা থেকে উঠে এসে ২০১৬ সালে নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য তিনি পরিচিত হলেও বিচারপতি থাকাকালে তাকে ঘিরে একবার অভিশংসন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল।
বর্তমানে সেনাবাহিনী রাজধানীতে টহল দিচ্ছে। বিক্ষোভ দমন হলেও সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করছে—রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা হয়তো নেপালের গণতন্ত্রের পথকে নতুন সংকটে ঠেলে দিতে পারে।