- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক। PNN
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, তার উত্তরসূরি জো বাইডেন কর্তৃক জারি করা সমস্ত নির্বাহী আদেশ বাতিল করা হবে, যদি তা অটোপেন নামক যন্ত্র ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়। ট্রাম্পের এই মন্তব্যে পরোক্ষভাবে ডেমোক্র্যাটিক নীতি এবং বাইডেন প্রশাসনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “যে কোনো নথি যা ‘স্লিপি জো বাইডেন’ অটোপেন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন, যা প্রায় ৯২% অনুমান করা হচ্ছে, তা অবিলম্বে বাতিল করা হলো এবং আর কোনো বৈধতা থাকবে না।”
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করেছেন, বাইডেন তার অগ্রজীর্ণ বয়স এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি কারণে নির্বাহী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় ছিলেন না। এছাড়াও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি বাইডেন স্বীকার করেন যে তিনি অটোপেন প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন, তবে তাকে মিথ্যা শপথের অভিযোগে আদালতে তোলা হবে।
অটোপেন বা যান্ত্রিক স্বাক্ষর যন্ত্রের ব্যবহার শ্বেতগৃহের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন। ট্রাম্প নিজেও তার প্রথম কার্যকালীন সময়ে এটি ব্যবহার করেছেন।
বাইডেন এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। জুনে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমার সভাপতিত্বকালে সব সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নিয়েছি। নির্বাহী আদেশ, আইন প্রণয়ন, ছাড়পত্র সবই আমার সিদ্ধান্তের ফল। যা নির্দেশ না করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
আইন বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই দাবি আদালতে চ্যালেঞ্জযোগ্য মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের কোনো নথি স্বাক্ষর করা হলে সেটি আইনগতভাবে বৈধ হয়, স্বাক্ষর যন্ত্র বা ব্যক্তিগত স্বাক্ষর কোন প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এদিকে, বাইডেনের বয়স ও স্বাস্থ্যের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জনগণের মধ্যে আগেই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল। গত বছরের নির্বাচনী বিতর্কে বাইডেনের দৃশ্যমান ক্লান্তি এবং মনোযোগের ঘাটতি তা আরও স্পষ্ট করেছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে তর্কিত হয়েছে, তবে বাইডেন প্রশাসন এবং আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে কার্যত অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।