Tuesday, October 14, 2025

ট্রাম্প–নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউসে বৈঠক, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা


ছবিঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করমর্দন করছেন; ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউস ত্যাগের সময় (সংগৃহীত । আল জাজিরা । এএফপি )

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার চতুর্থবারের মতো হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছেন। প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজার যুদ্ধ ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অঞ্চলের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্যই এ বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প একদিন আগে নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ সর্ববড় অক্ষরে পোস্ট করে মধ্যপ্রাচ্যে “মহান পরিবর্তন” ও “বিশেষ কিছু” আনার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার যুদ্ধের অবসানের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এই পরিকল্পনাকে কার্যকর করার লক্ষ্যে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সামনে উপস্থাপিত হয় ২১ দফার একটি প্রস্তাব, যেটিকে যুদ্ধোত্তর “ডে আফটার” পরিকল্পনা বলা হচ্ছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাসকে অবশিষ্ট ৪৮ বন্দি—যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে—দুই দিনের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। হামাস যোদ্ধাদের গাজা ছাড়ার সুযোগ বা প্রতিরোধ ত্যাগ করলে ক্ষমা দেওয়ার প্রস্তাবও থাকছে। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ, কিছু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি এবং ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে।

তবে হামাস জানিয়েছে, মিসর ও কাতারের মাধ্যমে তারা এ পরিকল্পনার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এখনও পায়নি। সংগঠনটি বলছে, নতুন প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে। এরই মধ্যে কাসসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, ইসরায়েলি স্থল ও আকাশ অভিযান তীব্র হওয়ার কারণে গাজা সিটিতে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে ধরে রাখা দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর অতি-ডানপন্থী জোট সরকারের মূল অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে, কারণ প্রস্তাবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা খোলা রাখা হয়েছে। অথচ এর বিরোধিতা করে আসছে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন মহল।

গাজায় প্রতিদিনের বোমাবর্ষণ ও অভিযানে বহু সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ায় যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন