- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৮৪ জন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষের, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার।
গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে বোমা বর্ষণ ও ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে এক ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও অন্তত চারজন আহত হন। নুসেইরাত এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে হামলায় নারী-শিশুসহ আরও কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, হাসপাতালগুলোর রক্তভাণ্ডার প্রায় শেষ হয়ে গেছে। রক্ত সংরক্ষণ ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও ফুরিয়ে আসছে, ফলে জীবন বাঁচানোর চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক ঘিরে গাজাবাসীর মধ্যে এক ঝলক আশার আলো জেগেছে। তবে বাস্তুচ্যুত অনেকে বলছেন, অতীতে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি বারবার ভেঙে গেছে বলে তারা আশাবাদী হতে পারছেন না।
গাজার বাসিন্দা ফাতিমা আল-জাম্মাল বলেন, “দুই বছর ধরে এ যুদ্ধ চলছে। আমাদের শিশুদের মুখে আবার হাসি দেখতে চাই। স্কুল খুলুক, হাসপাতাল স্বাভাবিক চিকিৎসা দিক—শুধু একটু শান্তি চাই।”
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ ইতোমধ্যে ট্রাম্পের প্রস্তাবকে “অসাধারণ সুযোগ” বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়েছেন, বন্দিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাড় দেওয়া যাবে না।