- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে থাকসিন ও তার পরিবার থাই রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। তবে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।
২০২৩ সালে দেশে ফিরে থাকসিনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও তিনি মাত্র কয়েক ঘণ্টা জেলখানায় কাটান। হৃদরোগের অজুহাতে তাকে ব্যাংককের পুলিশ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি একটি বিলাসবহুল কক্ষে ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে রাজকীয় ক্ষমা পেয়ে শাস্তি এক বছরে নামিয়ে আনা হয় এবং তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানায়, থাকসিনের চিকিৎসাজনিত অবস্থা জরুরি ছিল না এবং তাকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া যেত। তাই হাসপাতালে দীর্ঘদিন থাকার বিষয়টি বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালতের সামনে সমর্থকরা ভিড় করেন, যাদের অনেকেই তার দল ‘ফেউ থাই’-এর ঐতিহ্যবাহী লাল পোশাক পরিহিত ছিলেন। থাকসিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন কন্যা পায়েতংতার্নের সঙ্গে, যিনি সম্প্রতি নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে দলীয় নেতৃত্ব থেকে অপসারিত হয়েছেন।
রায়ের পর পায়েতংতার্ন জানান, তিনি তার বাবার জন্য উদ্বিগ্ন হলেও পরিবার এখনো মানসিকভাবে শক্ত রয়েছে এবং বিরোধী দলে থেকে তারা রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবেন।
থাকসিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শারীরিক স্বাধীনতা হারালেও আমার চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে দেশের জনগণের কল্যাণে।”
থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই রায়কে অনেকেই শিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রভাব কমে যাওয়ার আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন।