Tuesday, October 14, 2025

থাইল্যান্ডে আদালতের রায়ে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রা


ছবি: [১/৬] থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রা সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। সাংবিধানিক আদালত নৈতিকতা লঙ্ঘনের একটি আলোচিত মামলায় তাকে পদচ্যুত করার রায় দেওয়ার পর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপে তিনি কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ আগস্ট ২০২৫, ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে (সংগৃহীত । রয়টার্স/আথিত পেরাওংমেথা )

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করেছে। মাত্র এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোয় আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়, জুন মাসে ফাঁস হওয়া এক টেলিফোন আলাপে পেতংটার্ন ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের প্রতি নতি স্বীকার করেছিলেন। ওই সময় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে উঠেছিল এবং পরে পাঁচ দিনের জন্য সংঘর্ষে রূপ নেয়। আদালতের মতে, এ পদক্ষেপে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে।

৩৯ বছর বয়সী পেতংটার্ন ছিলেন থাইল্যান্ডের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী এবং শিনাওয়াত্রা পরিবারের ষষ্ঠ নেতা যিনি সামরিক বা বিচারিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন। এর মধ্য দিয়ে থাই রাজনীতিতে শিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রভাব আবারও বড় ধাক্কার মুখে পড়ল।

এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পার্লামেন্টে ভোট হবে। তবে কবে নির্বাচন হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এর মধ্যে উপ-প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই অন্তর্বর্তীকালীনভাবে সরকার পরিচালনা করবেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পেউ থাই দলের প্রবীণ নেতা চাইকাসেম নিতিসিরি, সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা এবং আনুতিন চার্নভিরাকুল, যিনি সাম্প্রতিক ফোনকল কেলেঙ্কারির পর পেতংটার্নের জোট থেকে সরে যান।

বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় থাইল্যান্ডে আবারও তীব্র রাজনৈতিক সমীকরণ ও ক্ষমতার টানাপোড়েন তৈরি করবে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন