- ২২ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আট দিনের জন্য বন্ধ থাকার পর আজ থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের কারণে একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে, শিক্ষকরা এবার থেকে পরবর্তী চারটি শনিবারও ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আজ প্রথম শনিবার, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় স্কুলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেছেন। নোয়াখালীর করমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সালেহ উদ্দিন জানান, "আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস নিচ্ছেন। দীর্ঘ সময়ের বন্ধের ফলে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাই এখন আমাদের মূল দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সেই ক্ষতি পূরণ করা। আমরা চাই না, কোনো শিক্ষার্থী পেছনে পড়ে থাকুক বা পরীক্ষায় দুর্বল ফলাফল করুক।"
কুষ্টিয়ার নিমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আসাদ বলেন, "আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর ডাকে কর্মবিরতি পালন করেছিলাম, কিন্তু এখন তার নির্দেশনায় শনিবারও বিদ্যালয় কার্যক্রম চালাচ্ছি।" শিক্ষকদের এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে।
এছাড়া, নূরপুর রহমানিয়া দারুছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানিয়েছেন, "আমরা অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর নির্দেশনা মেনে মাদ্রাসার কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছি। এতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে পাঠদান ও পড়াশোনায় অংশগ্রহণ করতে পারছে।"
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীকরণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, "শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমরা শনিবারেও ক্লাস নিব। আমাদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল, এখন তাদের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষতি যেন না হয়, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।" তিনি আরও বলেন, "এই সিদ্ধান্ত সাময়িক, এবং সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের বিবেকের তাড়নায় নেওয়া পদক্ষেপ।"
শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে কোনো ক্ষতি না হয় এবং তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকভাবে চলতে পারে। আগামী চারটি শনিবার ক্লাস চলবে, তবে এটি স্থায়ীভাবে স্কুলের ছুটি বাতিল করার উদ্যোগ নয়, বরং শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য।