Tuesday, October 14, 2025

সীমান্ত সংঘাতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে শান্তি আলোচনায় আহ্বান ট্রাম্পের, যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত


ফাইল ছবি: ডোনাল্ড ট্রাম (সংগৃহীত)

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ডকম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতে হস্তক্ষেপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্কটল্যান্ডে ব্যক্তিগত গলফ রিসোর্ট সফরের সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন, উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য তাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প জানান,

“উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্রুত আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।”

এদিকে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক বিবৃতিতে জানান, তার দেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন,

“কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিক ও বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চায় থাইল্যান্ড।”

‍৩৩ জনের প্রাণহানি, সহিংসতায় উত্তপ্ত সীমান্ত

গত ২৪ জুলাই শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে উভয় দেশের সেনা সদস্য ছাড়াও সাধারণ বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। সংঘাতের ফলে হাজারো মানুষ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বাণিজ্য আলোচনায় চাপ

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, সংঘাত অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তবে তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আলোচনায় ফিরে আসার আগ্রহের কথাও জানান।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপ এমন এক সময় এলো, যখন আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবেও চাপে পড়তে পারে।

আঞ্চলিক উদ্বেগ ও আন্তর্জাতিক নজর

এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ, চীন ও আসিয়ান সদস্যরাও কূটনৈতিকভাবে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে সংঘাত নিরসনের আশাবাদ দেখা দিয়েছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন