- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে অন্তত একজন নিহত এবং আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মধ্যে এটিই ছিল মস্কোর সবচেয়ে বড় আক্রমণ, যখন যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রয়েছে।
ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানায়, বুধবার রাতভর রুশ বাহিনী ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে অধিকাংশই প্রতিহত করা হলেও কিছু হামলা বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে, যা হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে একটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন। এ ছাড়া ২৬টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান আঞ্চলিক গভর্নর মাকসিম কোজিৎস্কি।
হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার সীমান্তঘেঁষা মুকাচেভো শহরে আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। সেখানকার এক মার্কিন ইলেকট্রনিক্স কারখানার গুদাম ধ্বংস হয়ে যায়। স্থানীয় গভর্নর মাইরোস্লাভ বিলেতস্কি জানান, কারখানাটিতে ভোক্তা পর্যায়ের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি হতো। হামলার পর টেলিভিশন ফুটেজে কারখানার ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, কারখানাটি সম্পূর্ণ বেসামরিক স্থাপনা, যার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বা সামরিক বাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।
রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, মস্কো কোনো সমঝোতার পথে এগোচ্ছে না, বরং সাধারণ জনগণকে টার্গেট করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের জন্য।
তার ভাষায়, “রাশিয়া একটি মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এটি ছিল সাধারণ ভোক্তা পণ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ এটিও রাশিয়ার হামলার শিকার হলো—এটাই প্রমাণ করে তারা কতটা নির্বিচার।”
এছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লুটস্কেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তবে সেখান থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।