- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
পাকিস্তানে গত প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ এই হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এবং প্রাদেশিক জরুরি বিভাগগুলো জানিয়েছে, নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ২২ জন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে, ১৩ জন পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাবে, সাতজন দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধুতে এবং চারজন দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তানে মারা গেছেন।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের উপপরিচালক ইরফান ভার্ক বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার মতো পরিস্থিতি এবারও ফিরে আসার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সে সময় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল এবং ১ হাজার ৭৩৭ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।
সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে একই পরিবারের ১৩ জন সদস্যও রয়েছেন। গত সপ্তাহে তারা ভ্রমণে গিয়ে খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত নদীতে স্রোতে ভেসে যান। ওই পরিবারের ১৭ জন সদস্যের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র বিলাল ফয়জি জানিয়েছেন, পরিবারটির ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজ একজনকে খুঁজতে গতকাল সোমবারও ডুবুরিরা অভিযান চালিয়েছেন। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি পরিষেবা বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে, অনেকে ধীরগতিতে কাজ করার অভিযোগ করেছেন।
এর আগে গত রোববার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বিপদের বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল এবং মানুষকে নদী ও ঝরনা পার না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।