- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক ভোটার মনে করেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। বুধবার প্রকাশিত কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের মধ্যে এ বিশ্বাসের হার সবচেয়ে বেশি—৭৭ শতাংশ। স্বতন্ত্র ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি (৫১ শতাংশ) একই মতামত দিয়েছেন। তবে রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ মনে করেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সঠিক নয়; মাত্র ২০ শতাংশ এ অভিযোগে একমত হয়েছেন।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জনের মধ্যে প্রায় চারজন (৬০ শতাংশ) চান না ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েলকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা পাঠানো হোক। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রশ্নমালার ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ বিরোধিতা।
ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন দেখা গেছে। ৩৭ শতাংশ মার্কিন ভোটার জানিয়েছেন, তাঁদের সহানুভূতি ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেশি, যেখানে ৩৬ শতাংশ ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। জরিপ শুরু হওয়ার পর (ডিসেম্বর ২০০১) এটিই প্রথমবার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সহানুভূতি সর্বোচ্চ এবং ইসরায়েলিদের জন্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
কুইনিপিয়াকের বিশ্লেষক টিম ম্যালয় বলেন, “ফিলিস্তিনিদের জন্য জনসমর্থন বাড়ছে, আর ইসরায়েলকে সামরিকভাবে অর্থায়নের আগ্রহ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। একইসঙ্গে গাজার বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রতি কড়া সমালোচনা দেখা দিচ্ছে।”
১,২২০ নিবন্ধিত ভোটারের ওপর পরিচালিত এ জরিপের ত্রুটির সীমা ±৩.৪ শতাংশ পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে, যদিও ইসরায়েল তা অস্বীকার করেছে। গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) প্রাথমিক রায়ে বলেছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চালিয়ে যেতে পারে এবং ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার “যৌক্তিক অধিকার” রয়েছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ২০২৪ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং নিহত হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।