- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে ওয়াশিংটনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। তবে, তাকে নিজ দেশে বিভিন্ন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তীব্র চাপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আল জাজিরা, ইসরায়েল এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিষিদ্ধ থাকায়, জর্ডানের আম্মান থেকে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ বৈঠকই রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ইসরায়েলিদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে। ইসরায়েলের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা একটি চুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন।
নেতানিয়াহুর নিজ সরকারের মধ্যেই যেকোনো চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা রয়েছে, বিশেষ করে কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচের কাছ থেকে। তারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে, একটি চুক্তি বানচাল করতে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবেন এবং এই সময়টি ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত সময়।
অন্যান্য পক্ষগুলো চুক্তি করতে ইচ্ছুক হলেও, নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপস করতে রাজি নয়।
গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারগুলোও সোচ্চার। তারা ৬০ দিনের আংশিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দাবি জানিয়েছে, যা যুদ্ধ শেষ করবে এবং গাজায় আটক থাকা ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
নেতানিয়াহু নিজে কিছু নমনীয়তা প্রদর্শনে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন। তবে, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, "এই চুক্তি কোনো মূল্যে হবে না।" এটি আন্তর্জাতিক চাপ, অভ্যন্তরীণ দাবি এবং তার সরকারের কট্টরপন্থী উপাদানগুলির মধ্যে তাকে যে কঠিন ভারসাম্য বজায় রাখতে হচ্ছে, তারই প্রতিফলন।
এই উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার ফলাফল কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত, কারণ নেতানিয়াহু দেশে ও বিদেশে তীব্র রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন।