Tuesday, October 14, 2025

নেপালে ৫ মার্চ ভোট, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিতেই শিথিল হলো নিষেধাজ্ঞা


ছবিঃ নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান। ২০২৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ দৃশ্য ধরা পড়ে। (সংগৃহীতঃ রয়টার্স)

PNN আন্তর্জাতিক ডেস্ক | কাঠমান্ডু, ১৩ সেপ্টেম্বর 

বিক্ষোভ-অগ্নিপরিস্থিতির পর রাজনৈতিক মোড় ঘুরেছে হিমালয় ঘেরা দেশ নেপালে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল ঘোষণা করেছেন, আগামী ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন। এ ঘোষণা আসে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।

প্রেসিডেন্টের ঘোষণার মাধ্যমে ২৭৫ আসনের নেপালি সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে স্থিতিশীল করার কাজে নেমেছে।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলনে রূপ নেয়। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন, শীর্ষ নেতাদের বাসভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে। তীব্র চাপে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

পুলিশের হিসেবে, গত সোমবার থেকে সহিংসতায় কমপক্ষে ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জন বিক্ষোভকারী, তিন পুলিশ সদস্য, নয়জন বন্দি ও আরও ১৮ জন সাধারণ মানুষ রয়েছেন। এ সময়ে বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যায়, যদিও প্রায় এক হাজারকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল জেনারেশন জেড তরুণরা। বেকারত্ব, দারিদ্র্য আর বৈষম্যের কারণে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এবার রাস্তায় ফেটে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ যুবকদের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব তাদের বিদেশমুখী করেছে। মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত লাখো নেপালি শ্রমিকের হতাশা দেশজুড়ে প্রতিবাদের পটভূমি তৈরি করেছে।

প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে টানা দুই দিনের আলোচনার পর কার্কির নাম প্রস্তাবিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

কার্কির শপথ নেওয়ার পরপরই প্রতিবেশী ভারত শুভেচ্ছা জানায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তায় লেখেন, “নেপালের ভাই-বোনদের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে ভারত সর্বদা পাশে থাকবে।”


Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন