Tuesday, October 14, 2025

নাথান কেলির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফিটনেস পদ্ধতিতে পরিবর্তন


ছবিঃ বাংলাদেশের খেলয়ারা (সংগৃহীত)

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা ফিটনেসের জন্য পরিচিত ছিলেন বিপ টেস্ট ও ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে, যেখানে বিরতি নিয়ে দৌড়ানো হতো। তবে গত বছর সাড়ে এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া জাতীয় দলের নতুন ফিটনেস কোচ নাথান কেলি তার ধারাকে বদলে দিয়েছেন। এখন ক্রিকেটারদের ‘টাইম ট্রায়াল’ পরীক্ষা দিতে হয়, যেখানে বিরতি ছাড়াই অ্যাথলেটিক টার্ফে ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়।

সম্প্রতি মিরপুরে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছেন পেসার নাহিদ রানা। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস মানদণ্ড তিন ভাগে বিভক্ত — ‘এলিট’, ‘কম্পিটেন্ট’ বা ‘সন্তোষজনক’, ও ‘লিমিটেড’। এদিন নাহিদ একমাত্র এলিট ক্যাটাগরিতে ছিলেন, বাকিরা বেশিরভাগ সন্তোষজনক পর্যায়ে।

ফিটনেস পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি কেন গ্রহণ করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে নাথান কেলি জানান, ‘টাইম ট্রায়াল পরীক্ষা নেওয়া সহজ এবং নির্ভুল। এতে কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না, শুধু অ্যাথলেটিক টার্ফেই দৌড়াতে হয়। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও এটি সহজে প্রয়োগযোগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইয়ো ইয়ো ও বিপ টেস্টে কখনো খেলোয়াড়েরা সামান্য পরিমাণে পিছিয়ে থাকলেও পরীক্ষা থামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়। কিন্তু টাইম ট্রায়ালে ফলাফল স্পষ্ট, কারণ ঘড়ি মিথ্যা কথা বলে না।’

তবে ফিটনেস পরীক্ষার ফলাফলকে চূড়ান্ত কিছু মনে না করে কেলি জানান, ‘আমাদের আসল লক্ষ্য হল খেলোয়াড়দের ফিটনেসের শক্তি ও দুর্বলতা বুঝে নেওয়া। যেমন কেউ হয়তো টাইম ট্রায়ালে ভালো করতে না পারলেও জিমে স্ট্রেন্থ ওয়ার্কে শক্তিশালী হতে পারে। সেই অনুযায়ী তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফিটনেস মান উন্নয়নে ‘টাইম ট্রায়াল’ পরীক্ষা নতুন দিশা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করছেন কোচ নাথান কেলি ও জাতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফরা।


Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন