- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বড় ব্যবধানে হারের (৮৮ রানে) ম্যাচে ব্যাটার মুনিবা আলীর রানআউট নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিরসনে এবার মুখ খুলল ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার মুনিবাকে সঠিকভাবেই রানআউট ঘোষণা করেছিলেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) ভারতের দেওয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মুনিবা। তৃতীয় আম্পায়ার তাকে আউট ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা প্রতিবাদ জানান এবং মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন।
এমসিসি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় আম্পায়ার কেরিন ক্লাস্তে মুনিবার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে তা একেবারে সঠিক ছিল।
ভারতীয় পেসার ক্রান্তি গৌরের ডেলিভারি মুনিবার প্যাডে লাগলে ফিল্ডাররা এলবিডব্লিউর আবেদন করেন। অন-ফিল্ড আম্পায়ার সেই আবেদন নাকচ করে দেন। আবেদন চলাকালীন মুনিবা ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তার ব্যাট দাগের ভেতরে ছিল না। এই সুযোগে ভারতীয় ফিল্ডার দীপ্তি শর্মা সরাসরি থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন এবং রানআউটের আবেদন করেন।
ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে লাগার সময় মুনিবার ব্যাট বাতাসে ছিল এবং তিনি নিজেও ক্রিজের বাইরে অবস্থান করছিলেন। এই কারণে তৃতীয় আম্পায়ার তাকে আউট ঘোষণা করেন।
মুনিবার আউট নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মূল কারণ ছিল দুটি আইনি দিক। অনেকে মনে করেছিলেন, জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন মানেই বল 'ডেড' হয়ে গেছে। এমসিসি স্পষ্ট করেছে যে, আম্পায়ার আবেদনটি 'নটআউট' ঘোষণা করায় এবং উইকেটকিপারের হাতে বল পুরোপুরি থিতু না হওয়ায় বল তখনো খেলার মধ্যে ছিল। দীপ্তি শর্মার থ্রো প্রমাণ করে খেলোয়াড়েরা বলকে 'ডেড' মনে করেননি।
কেউ কেউ ৩০.১.২ ধারা টেনে দাবি করেন, কিছুক্ষণ আগেই মুনিবা ক্রিজে ব্যাট রাখায় তিনি আউট ছিলেন না। এমসিসি জানায়, ২০১০ সালে চালু হওয়া এই আইনটি ব্যাটারকে রক্ষা করে কেবল তখনই, যখন তারা দৌড়ানোর বা ডাইভ দেওয়ার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট মাটি থেকে ওঠে যায় বা দুই পা বাতাসে উঠে যায়। কিন্তু মুনিবার ক্ষেত্রে তা হয়নি—তিনি নিজেই ব্যাট তুলে ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালীন ব্যাটার ক্রিজের বাইরে অবস্থান করেন এবং কোনো ফিল্ডারের কার্যক্রমে তার উইকেট ভাঙা হয়, তবে তিনি আউট হবেন।
উল্লেখ্য, এই বিতর্কের পর পাকিস্তান দল আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং ভারত আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে।