Friday, December 5, 2025

মস্কোতে শান্তি আলোচনা: ট্রাম্পের বিশেষ দূতদের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক আজ


ফাইল ছবিঃ মার্কিন শান্তি–প্রস্তাবের সর্বশেষ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পের দূতদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট পুতিন (সংগৃহীত । আল জাজিরা । এএফপি]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। PNN 

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার আজ মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। মস্কোতে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা সম্ভাব্য সমঝোতা নিয়ে “খুবই আশাবাদী”। তবে ইউক্রেন এখনো সতর্ক—কারণ আলোচনার আগের দুই দফা বৈঠকে প্রস্তাবে রাশিয়ার দাবিগুলোর ছাপ এখনও রয়ে গেছে বলে মনে করছে কিয়েভ।

গত সপ্তাহে ২৮ দফা বিশিষ্ট একটি খসড়া শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ হয়, যা দ্রুতই সমালোচনায় পড়ে। কারণ এতে ইউক্রেনকে বড় অংশের ভূখণ্ড ছাড়তে, সামরিক সক্ষমতা সীমিত করতে এবং ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। অনেক বিশ্লেষক একে রাশিয়ার “ইচ্ছাপূরণের তালিকা” বলেও উল্লেখ করেছেন।

পরে ইউক্রেন ও তাদের ইউরোপীয় মিত্রদের আপত্তির ভিত্তিতে প্রস্তাবের কাঠামোতে সংশোধন আনা হয়। এরপর রবিবার ও সোমবার যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেনের যৌথ আলোচনায় আরও কিছু পরিবর্তন হয়। তবে চূড়ান্ত রূপ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

পুতিন জানিয়েছেন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রস্তাবকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। তবে ইউক্রেন যদি চুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনে আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন। তার ভাষায়, “ইউক্রেনীয় বাহিনী দখল করা এলাকাগুলো থেকে না সরে গেলে যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে না; সশস্ত্র ব্যবস্থায় আমরা লক্ষ্য অর্জন করব।”

রাশিয়া কোনো যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি নয় যদি সেটি তাদের দীর্ঘদিনের “সর্বোচ্চ দাবিগুলো” পূরণ না করে, এমন অবস্থান আগের মতোই বজায় রেখেছে মস্কো। কিয়েভ বলছে, এমন কোনো চুক্তি মানে ইউক্রেনকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া।

সোমবার প্যারিসে জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের বৈঠকে সংশোধিত পরিকল্পনা নিয়ে আবার আলোচনা হয়। জেলেনস্কি বলেন, নতুন সংস্করণ “আগের তুলনায় ভালো”, কিন্তু ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের ইস্যুই সবচেয়ে জটিল।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, বর্তমান কূটনৈতিক তৎপরতা “একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত” হতে পারে, তবে শেষ সিদ্ধান্ত ইউক্রেনেরই।

বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে, যা দুই বছরের ব্যবধানে আরও এক শতাংশ বেড়েছে। কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের দাবি করলেও ইউক্রেন জানায়, শহরের উত্তরাংশ এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং দক্ষিণে পাল্টা আক্রমণ চলছে।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে—যদিও দুই দেশই নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন