- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে বড় পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় দেশটি সম্প্রতি সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং দেশটিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সে লক্ষ্যে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সিরিয়ার সব পক্ষ বর্তমানে সংঘাত বন্ধে সম্মত হয়েছে। এখন সরকারের দায়িত্ব, যারা সহিংসতার জন্য দায়ী—তাদের বিচার নিশ্চিত করা, তা তারা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্য হলেও।
গাজা নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা
গাজা পরিস্থিতি নিয়েও নতুনভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু করেছেন। একই সঙ্গে গাজাবাসীর জন্য টেকসই মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ট্যামি ব্রুস অভিযোগ করেন, “হামাস পূর্বের যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং মানবিক সংকটকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।” বিশেষ করে গাজার জিকিম ক্রসিং এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি হামাসকে দায়ী করেন।
ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কো (জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে। ব্রুস বলেন, “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক আচরণ যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিতে পারে না। এ কারণেই ইউনেস্কো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”