- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির ছয় মাস পর নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ায় বড় ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল, মার্কিন অর্থ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায় যে, ট্রাম্পের এই আদেশ সিরিয়ার উন্নয়ন, সরকারি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং দেশটির সামাজিক পুনর্গঠনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার বহু আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটির উপর কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী, আসাদ হাসান আল-শাইবানি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ "দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পুনর্গঠন ও উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।" তিনি আরও যোগ করেন, এটি "অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বাধাগুলো দূর করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশটির দুয়ার উন্মুক্ত ।
বিস্তৃত এই নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচি, যার মধ্যে পূর্ববর্তী সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধানও ছিল, সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছিল। একইসাথে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আসাদের শাসনামলে সিরিয়ার অর্থনীতিকে পতনের মুখে ঠেলে দিয়েছিল।
গত মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, "যুক্তরাষ্ট্র একটি স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ এবং নিজের ও প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে বসবাসকারী সিরিয়াকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" তিনি আরও বলেন, "একটি ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া যা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না এবং তার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।"