- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ইসলামাবাদ, পাকিস্তান – ২০ আগস্ট ভারত ঘোষণা করেছে যে তারা সফলভাবে অগ্নি-ভি (Agni-V) ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ওডিশার উপকূলে বঙ্গোপসাগরের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা এ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের অন্যতম আধুনিক ব্যালিস্টিক অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অগ্নি-ভি-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭.৫ মিটার এবং ওজন ৫০ হাজার কেজি। এটি ১,০০০ কেজিরও বেশি পারমাণবিক বা প্রচলিত ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘণ্টায় প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে—যা একে বিশ্বের দ্রুততম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে।
এই উৎক্ষেপণটি এমন সময়ে ঘটল যখন পাকিস্তান এক সপ্তাহ আগে তাদের নতুন আর্মি রকেট ফোর্স কমান্ড (ARFC) গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় এই পরীক্ষা পাকিস্তানকে নয় বরং প্রতিবেশী চীনকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া একটি কৌশলগত বার্তা হতে পারে।
অগ্নি-ভি-এর পাল্লার মধ্যে রয়েছে এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল, এমনকি চীনের উত্তরাঞ্চল এবং ইউরোপের কিছু অংশও। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি এসেছে এমন এক সময়ে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির কারণে পরিস্থিতি জটিল রয়ে গেছে।
ভারত যদিও পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে বিমান হারানোর স্বীকার করেছে, তবে তারা ব্রহ্মোস (BrahMos) সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করেছে। ব্রহ্মোস প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এর নিচু উচ্চতায় গতিপথ অনুসরণ করার ক্ষমতা এটিকে প্রতিরোধ করা কঠিন করে তোলে।
অতএব, অগ্নি-ভি-এর সর্বশেষ পরীক্ষা পাকিস্তানের নতুন রকেট ফোর্স গঠনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয় বরং চীনকে উদ্দেশ্য করে ভারতের শক্তি প্রদর্শনের অংশ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
সুত্রঃ আল জাজিরা