- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আসিফ মাহমুদ, PNN আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতার মুখে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনী। পার্লামেন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে পাহারা বসানো হয়েছে। সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে নেপাল সেনা কর্তৃপক্ষ।
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মঙ্গলবার সহিংসতায় রূপ নেয়। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় রাজনীতিবিদদের বাড়িঘর ও সরকারি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। এমনকি সংসদ ভবনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন।
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়া জেন-জি গোষ্ঠীগুলো বলছে, মূল আন্দোলনকে সুবিধাভোগীরা ‘ছিনতাই’ করেছে। কারফিউয়ের মধ্যেই কিছু তরুণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমেছেন। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের সাং লামা বলেন, “দুর্নীতি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এখন জাতির পরিবর্তনের সময় এসেছে।”
রাজধানীর পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার থেকে সেনারা টহল দিচ্ছে। বিমানবন্দর পুনরায় চালু হলেও কারফিউ বহাল রয়েছে। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লুটপাট ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
তরুণ বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের আন্দোলন অহিংস ছিল এবং এখনো আছে। তবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে অনেকেই হতবাক। উদ্যোক্তা প্রভাত পৌডেল বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের মতো জাতীয় সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।” ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ও শাসনব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে, যা শিগগিরই নতুন নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হবে।