- ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় অন্তত ১৫ লক্ষ মানুষ জরুরি সহায়তার প্রয়োজন, কারণ তারা তাদের বাড়ি ফিরলেও শুধু ধ্বংসাবশেষ পাচ্ছে। খাদ্য ও পানির মতো মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য তারা কঠোর সংগ্রাম চালাচ্ছে।
মিশরের কায়রোতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সাথে বৈঠক শেষে, হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসনের জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এই কমিটি প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
গাজায় ফিরে আসা এক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা জানান, তার শহরের একাংশের ওপর ইসরাইলি বিমান হামলার পর, সে একটি অবিস্ফোরিত ইসরাইলি ভারী বাহনটির ওপর তাঁবু পেতে বসবাস শুরু করেছে। দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরের অনেক পরিবার তাদের বাড়িতে ফিরে আসলেও, সেখানে যেসব জায়গায় এক সময় বাড়ি ছিল, এখন সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া, গাজা উপত্যকার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া খুবই জটিল হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাদের প্রিয়জনদের খুঁজে বের করার জন্য নিজেদের হাত ব্যবহার করছে, যেহেতু যথাযথ সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এক ব্যক্তি তার পরিবারের সাতজন সদস্যকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও, তার স্ত্রী এবং সন্তানদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শীত মৌসুম আসন্ন হওয়ার কারণে, জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা (UNRWA) ফিলিস্তিনিদের জন্য জরুরি শেল্টার ও শীতকালীন সরঞ্জামের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলি সরকার সহায়তা প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে, এবং UNRWA-কে তাদের সাহায্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের অত্যাচারে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের জীবিকা হারিয়েছে। তবে, ইসরাইলি সরকার বলছে, তারা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানানো হলেও, গাজা এবং পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে, এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।