- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
আফগানিস্তানের জাতিসংঘ-নিষিদ্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি প্রথমবারের মতো ভারতে সফর করেছেন, যা ২০২১ সালে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর তাদের শীর্ষ নেতার প্রথম ভারত সফর। এই সফরকে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভারসাম্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মুত্তাকির এই সফরটি সম্ভব হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ভ্রমণ ছাড়পত্রের মাধ্যমে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর পাকিস্তানসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কূটনৈতিক অঙ্গনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন নয়াদিল্লি তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার অপেক্ষায় আছি।” মুত্তাকি ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে আগেও দুবাইয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এবার তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
যদিও দুই পক্ষই আলোচনার নির্দিষ্ট এজেন্ডা প্রকাশ করেনি, তবে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলো আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। ভারত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবে কাবুলে তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলছে।
এর আগে রাশিয়া সফর শেষে মুত্তাকি ভারতে পৌঁছান। উল্লেখ্য, রাশিয়াই এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মস্কো সফরে অংশ নিয়ে তিনি একটি আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দেন, যেখানে ভারত, পাকিস্তান, চীন, ইরান ও মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ যুক্ত হয়ে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিরোধিতা জানায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুত্তাকির এই সফর তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টার অংশ। কূটনৈতিকভাবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।