- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যে ডানপন্থী কর্মী চার্লি কার্ককে হত্যার অভিযোগে টাইলার রবিনসন নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কার্ক নিহত হন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ৩৩ ঘণ্টার দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রবিনসনকে আটক করা হয়। তাকে আত্মসমর্পণে রাজি করাতে তার বাবা ও স্থানীয় এক যুব পাদ্রির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র রাজনৈতিক বিভাজনকে আবারও উন্মোচিত করেছে।
উটাহের গভর্নর স্পেন্সার কক্স জানান, রবিনসন ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগেই উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের সময়ও তার পরনে একই ধরনের পোশাক ছিল।
পুলিশের বরাতে জানা গেছে, রবিনসন অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল একটি ঝোপের মধ্যে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি একটি আমদানি করা মাউজার রাইফেল, যার গুলির খোসায় লেখা ছিল “হে ফ্যাসিস্ট! ক্যাচ!” এবং “ও বেলা চাও”। উল্লেখ্য, বেলা চাও একটি ইতালীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গান।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠরা তাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমশ রাজনৈতিকভাবে চরমপন্থী হয়ে ওঠতে দেখেছেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক রুমমেটের সঙ্গে মেসেজ আদান–প্রদান থেকে জানা যায়, সে “রাইফেল সংগ্রহ” ও “অস্ত্র লুকানো” নিয়ে পরিকল্পনা করছিল।
চার্লি কার্ককে হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হতবাক হলেও অভিযুক্ত গ্রেপ্তারের খবর স্বস্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, রবিনসনের বিরুদ্ধে আগামী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যা, ন্যায়বিচারে বাধা সৃষ্টি এবং অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হবে।