- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন তহবিল, কেএলপি, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে সরঞ্জাম বিক্রয়কারী দুটি কোম্পানির সাথে আর কোনো ব্যবসা না করার ঘোষণা দিয়েছে। এই সরঞ্জামগুলো গাজা যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন সম্ভাবনার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেএলপি জানিয়েছে, তারা মার্কিন সংস্থা ওশকোশ কর্পোরেশন এবং জার্মান শিল্প প্রতিষ্ঠান থাইসেনক্রুপ -কে তাদের বিনিয়োগ তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
কেএলপি ক্যাপিটালফরভাল্টনিং-এর দায়িত্বশীল বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান কিরণ আজিজ আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, "২০২৪ সালের জুনে, কেএলপি জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারে যে, বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট কোম্পানি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে এবং এই অস্ত্রগুলো গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যে,ওশকোশ এবং থাইসেনক্রুপ কোম্পানি দুটি আমাদের দায়িত্বশীল বিনিয়োগ নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছে। তাই আমরা তাদের আমাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
পেনশন তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২০২৫ পর্যন্ত ওশকোশ-এ তাদের ১.৮ মিলিয়ন ডলার এবং থাইসেনক্রুপ এ প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ছিল।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কেএলপি নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন তহবিল। এটি প্রায় ১১৪ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল তত্ত্বাবধান করে। এটি একটি সরকারি পেনশন তহবিল যা পৌরসভা এবং সরকারি খাতের ব্যবসার মালিকানাধীন। এর পেনশন স্কিম প্রায় ৯০০,০০০ মানুষকে কভার করে, যাদের বেশিরভাগই পৌরসভার কর্মী।
কেএলপি -এর এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো যখন গাজায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। এর আগে, মেটা প্ল্যাটফর্মস, মার্স্ক এবং অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি বা সামরিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেএলপি -এর এই পদক্ষেপ বিশ্বের অন্যান্য বিনিয়োগ সংস্থাগুলির জন্যও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।