- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
মধ্যরাতে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়াবহ শব্দে ঘুম ভাঙে ইসরায়েলের অনেক নাগরিকের। রাজধানী তেল আবিব থেকে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলীয় কিছু শহর পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ ও আগুনের লেলিহান শিখা বহু মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনও নিরূপণ হয়নি, তবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে জরুরি বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
হামলার পর ভোরেই একাধিক শহরে ছুটে যান উদ্ধারকারী ও দমকল কর্মীরা। অনেক এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়, বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগব্যবস্থা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, বহু বাসিন্দা রাস্তায় নেমে এসেছেন, কেউ কেউ আবার বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছেন।
তেল আবিবের এক বাসিন্দা বলছিলেন, “আমার মনে হয়েছিল, পুরো ভবনটা ধসে পড়বে। বাচ্চারা চিৎকার করছিল, আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে।” অন্য এক নারী বলেন, “বাড়ির পাশেই বিস্ফোরণ হয়েছে। জানি না আবার কখন আঘাত আসবে।”
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। তবে কয়েকটি হামলা সফলভাবে পৌঁছেছে নির্ধারিত স্থানে। সামরিক ঘাঁটি ও জ্বালানি সরবরাহকেন্দ্রের কিছু স্থাপনায় আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই হামলা কেবল সামরিক নয়, জনমনে ভয় ছড়িয়ে দেওয়ারও একটি কৌশল। ফলে এটি মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করেছে যা দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে ইসরায়েল জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দুই পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছে।
ছবিঃ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংসস্তূপে রূপ নিয়ে বহুতল ভবন। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতায় ইসরায়েলি এক সেনাসদস্য। রিশন এলাকা, ইসরায়েল, ১৪ জুন, ২০২৫ (ছবি: রয়টার্স)