- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ওয়াশিংটন ও তেল আবিব সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল এখন কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করছে। একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার গোপন প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল সরকার চাইছে যেন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ও কৌশলগতভাবে দৃশ্যমান অবস্থান নেয়। বিশেষ করে ইরানের পরমাণু সক্ষমতা, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে নিশানা করে যৌথ অভিযান পরিচালনার পথে ধাবিত করতে ইসরায়েল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা বিশ্লেষক জানান, “ইসরায়েল চায় ওয়াশিংটন এই লড়াইকে ‘সম্মিলিত পশ্চিমা প্রতিরক্ষা উদ্যোগ’ হিসেবে বিবেচনা করুক। এতে শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক সমর্থনও আরও সুদৃঢ় হবে।”
এদিকে মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ মহলে এই উদ্যোগ নিয়ে দ্বিধা দেখা দিয়েছে। একাধিক কংগ্রেস সদস্য এর বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তাঁদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বড় ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নির্ধারণ শুধু ওই দুই দেশ নয়, বরং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে এই কৌশলের ওপর। তেল-গ্যাস সরবরাহ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথ নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
বর্তমানে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুদ্ধপন্থী ঘরানার চাপ মার্কিন সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফাইল ছবি: রয়টার্স