- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ইরান সম্ভবত কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে সক্ষম হবে। এই তথ্য শনিবার সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগিয়ে যাওয়া থেকে থামাতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরান সব সময়ই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, এসব স্থাপনায় ‘গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে, যদিও বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক দশকের জন্য পিছিয়ে গেছে।
তবে আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানান, কিছু পারমাণবিক স্থাপনা এখনও অক্ষত রয়েছে। তিনি শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরান সম্ভবত কয়েক মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে কিছু সেন্ট্রিফিউজ চালু করে পুনরায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারবে। সাক্ষাৎকারের অনুলিপি শনিবার প্রকাশ পায়।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হামলার আগেই ইরান তাদের প্রায় ৪০৮.৬ কেজি (৯০০ পাউন্ড) উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে পেরেছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ, যা বেসামরিক ব্যবহারের জন্য বেশি হলেও এটি এখনও ৯০ শতাংশে পরিশোধন করা গেলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এই পরিমাণ উপাদানে তাত্ত্বিকভাবে নয়টির বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব।
গ্রোসি সিবিএসকে বলেন, ‘আমরা জানি না এই ইউরেনিয়াম কোথায় আছে। এর কিছু অংশ হয়তো ধ্বংস হয়েছে, আবার কিছু হয়তো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’