Tuesday, October 14, 2025

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে উত্তপ্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: ঐকমত্য ছাড়াই শেষ হলো বৈঠক


ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান তীব্র সংঘাতের দায় চাপানো নিয়ে গতকাল শুক্রবার (২০ জুন, ২০২৫) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক এক উত্তপ্ত বাদানুবাদে পরিণত হয়। উভয় দেশ, তাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য দায় চাপায়। যদিও বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং একটি কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছিল, তবে কীভাবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে পরিষদ কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।

দশকের পর দশক ধরে সীমিত পরিসরে, সরাসরি এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের পর গত সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। ইসরায়েলের অভিযোগ, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই আত্মরক্ষার অজুহাতে ইসরায়েল ইরানে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যে এই পাল্টাপাল্টি হামলা এখনও চলছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে।

বৈঠকে দেওয়া বক্তৃতায় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি ইসরায়েল ও তার মিত্রদের তেহরানের ওপর আগ্রাসনের সমর্থনে দেওয়া 'অতর্কিত হামলা ও অস্তিত্বের হুমকি'র (ইরানের তরফে) যুক্তিকে 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের অজুহাত' বলে বর্ণনা করেন। আমির সাঈদ ইসরায়েলকে এমন একটি দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যারা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে এবং অন্যান্য দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে। তার বক্তব্যের সময় তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুদের ছবি তুলে ধরেন, যা বৈঠকে গভীর প্রভাব ফেলে।



ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি। ২০ জুন, ২০২৫, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরেছবি: রয়টার্স

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন