Friday, December 5, 2025

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ২৪৮, নিখোঁজ শতাধিক


ছবিঃ “ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের বিরেউন এলাকায় বন্যায় নিকটবর্তী একটি সেতু ধসে পড়ার পর মানুষজন নৌকায় নদী পার হওয়ার জন্য তীরের ঢাল বেয়ে নিচে নামছে। ২৯ নভেম্বর ২০২৫ (সংগৃহীত । আল জাজিরা । এপি ছবি/রেজা সাইফুল্লাহ)”

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। PNN 

ইন্দোনেশিয়ায় টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড়–সৃষ্ট বন্যা–ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) শনিবার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ২৪৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে। পাশাপাশি ১০০ জনের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ, যাদের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

বিএনপিবির প্রধান সুহারিয়ানতো বলেন, “অনেক জায়গায় উদ্ধারকারীরা এখনও পৌঁছাতে পারেননি। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনো বহু মানুষ নদীর স্রোতে ভেসে গেছেন বা কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পশ্চিম সুমাত্রার আগাম জেলা থেকে শুক্রবার নতুন করে বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় দুর্যোগ দপ্তরের মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব জানান, শুধু এই প্রদেশেই ৬১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং ৯০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া প্রদেশজুড়ে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত, এবং এক লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।

উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে ১১৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আচেহ প্রদেশেও মারা গেছেন অন্তত ৩৫ জন।

দেশটির পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডেও একই সময় প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তিন দেশে মোট মৃত্যু প্রায় ৪০০ ছাড়িয়েছে বলে আঞ্চলিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

বন্যা ও ভূমিধসে বহু সেতু ভেঙে পড়েছে এবং সড়ক ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
হাজারো ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন।

উত্তর সুমাত্রার সেন্ট্রাল তাপানুলি জেলায় এখনো আকাশপথে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কমলেও পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা না গেলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন