- ২২ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করেছেন যে, যদি হামাস গাজায় তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় এবং দলটির দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা বন্ধ না হয়, তবে তিনি হামাসের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে প্রস্তুত। তিনি একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টে বলেন, "যদি হামাস গাজায় নির্দোষ মানুষ হত্যা করতে থাকে, যা চুক্তির শর্ত নয়, তবে আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না এবং তাদের আমরা হত্যা করব।"
তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই হুমকি স্পষ্ট করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে না। তিনি বলেন, "এটা আমাদের কাজ হবে না, তবে আমাদের আশেপাশে এমন কিছু লোক আছেন যারা খুব সহজেই এই কাজটি করতে সক্ষম।" তাঁর মন্তব্য থেকে ইসরায়েলের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যদিও তিনি সরাসরি দেশটির নাম উল্লেখ করেননি।
এটি ট্রাম্পের আগের মন্তব্যের পরিপন্থী, যখন তিনি হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় সংঘটিত সংঘর্ষগুলির কিছুটা সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "তারা কিছু gang-কে হত্যা করেছে, যেগুলি ছিল খুবই বিপজ্জনক, এবং তাদের এই কাজের জন্য আমি খুব একটা বিরক্ত হইনি।" তবে, হামাসের গাজায় চলমান সহিংসতার পেছনে শঙ্কা রয়েছে, যেটি গাজার কিছু সশস্ত্র দল ও ইসরায়েলের সহযোগীদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করছে। এই সংঘর্ষের পরে, গাজার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় গ্যাং সদস্যদের জন্য একটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে, যারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অংশ নেয়নি।
এরপর, ট্রাম্প গাজায় হামাসকে অস্ত্রহীন করার জন্য হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, "তারা অস্ত্রবিহীন হবে, আর যদি তারা নিজে থেকে অস্ত্র না ফেলে, তবে আমরা তাদের অস্ত্রহীন করব, এবং এটা দ্রুত ও সহিংসভাবে ঘটবে।"
এদিকে, জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (WFP) গাজায় খাদ্য সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব অব্যাহত রয়েছে, এবং সহায়তা প্রবাহ খুবই সীমিত। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার সীমান্ত এবং মানবিক সাহায্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরেও পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ফলে, এই হুমকির ফলে এক নতুন সংকটের সৃষ্টি হতে পারে, এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।