Friday, October 24, 2025

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরেও খাদ্য ও মানবিক সংকট অব্যাহত, জাতিসংঘের সতর্কতা


ছবিঃ গাজায় খাদ্য, পানি ও জরুরি সামগ্রীর সংকট (সংগৃহীত। আল জাজিরা)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN 

গাজায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য হাহাকার করছেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (WFP) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর প্রতিদিন গাজায় ৫৬০ টন খাদ্য সামগ্রী প্রবাহিত হলেও, এটি এখনও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে গাজার জনগণের জন্য আরও সংকটপূর্ণ হতে পারে।

WFP-এর মুখপাত্র আবির এতেফা জেনিভায় সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এখনও যে পরিমাণ খাদ্য দরকার তার নিচে আছি, তবে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি একটি সংকীর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে, এবং আমরা খাদ্য সহায়তা দ্রুত ও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করার চেষ্টা করছি।"

এদিকে, গাজার বাসিন্দারা এখনও ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছেন, যদিও তারা সীমিত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। গাজার মধ্যবর্তী নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি দানশীল সংস্থা থেকে খাবারের অংশগ্রহণের জন্য দাড়ানো ফিলিস্তিনিরা তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামের সাক্ষী। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি-জেনারেল টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, যদি এই পরিস্থিতি আরও অব্যাহত থাকে, তবে গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার যানবাহন পাঠানো প্রয়োজন।

অপরদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের রামাল্লার ডেইর ঘাসানার গ্রামে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি ইউসেফ আবদুল হালিম দাউদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে দাউদের পরিবারকে নিপীড়ন করা হয় এবং গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে গ্রামটির আশেপাশে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। দাউদ সম্প্রতি ফিলিস্তিনি বন্দি-ইসরায়েলি বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে মিশরে নির্বাসিত হন।

অন্যদিকে, ইরান ইসরায়েলের লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে, যা তারা লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর একটি প্রকাশ্য আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। লেবানন সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, এই হামলায় এক জন নিহত এবং সাত জন আহত হয়েছেন। ইরান আরো অভিযোগ করেছে যে, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় ও শান্তিপূর্ণ আচরণ অবলম্বন করছে, যা তেহরান মনে করছে যে, লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা সংকট, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের মধ্য দিয়ে, পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন