Tuesday, October 14, 2025

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি, অনিশ্চয়তায় ইসরায়েল


ছবিঃ ইসরায়েলি হামলায় গাজা নগরী বিপর্যস্ত, বাসিন্দাদের অনড় থাকার ঘোষণা (সংগৃহীত । আল জাজিরা )

হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেছে যে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। তবে এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।

এরই মধ্যে গাজার খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। দেইর আল-বালাহ এলাকায় আরেকটি তাঁবুতে হামলায় প্রাণ গেছে আরও চারজনের। স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলের ভেতরে এখন জোরালো জল্পনা চলছে যে বন্দিদের ফেরত আনা এবং অন্তত একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে ব্যাপক আকারের যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় ধর্মঘট হয়েছে। লাখো মানুষ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন, যাতে তিনি বন্দি ফেরানোর শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন।

তবে নেতানিয়াহু আদৌ এই প্রস্তাব মেনে নেবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। বর্তমানে ইসরায়েলি সংসদ নেসেট অবকাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তাত্ক্ষণিক কোনো চাপের মুখে নেই। তাছাড়া জোট সরকারের ভাঙনের আশঙ্কাও আপাতত নেই, ফলে রাজনৈতিকভাবে তাঁর জন্য সমঝোতায় যাওয়ার সুযোগ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর সামনে একটি কৌশলগত বিকল্প হতে পারে—প্রথমে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে বন্দি ফেরানোর কৃতিত্ব নেওয়া, পরে জনমতের চাপ কমে গেলে আবার সামরিক অভিযান জোরদার করা।

তবে নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত সংকটগুলো এখনো বহাল রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলা, ৭ অক্টোবরের আগের নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে সম্ভাব্য তদন্ত এবং গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনার অভাব—সবকিছু মিলিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলের জন্য জটিল এক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন