- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজা সিটিতে স্থল অভিযান শুরু হওয়ায় জিম্মিদের মুক্তির সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি নেতৃত্বের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানায়, এই অভিযান মানে হলো জিম্মিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।
হামাসের বার্তায় বলা হয়, জিম্মিরা গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে, এবং নেতানিয়াহু যখন তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আর ভাবা হবে না।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জিম্মিরা সবসময় আমাদের চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমরা তাদের ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।” তবে অনেক পরিবার আশঙ্কা করছে, শহরে প্রবেশের এই অভিযানে তাদের প্রিয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হবে। বর্তমানে গাজায় ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে এক জিম্মির মা, আইনাভ জানগাওকার কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমাকে বলুন, কিভাবে আমার মুখের ওপর মিথ্যে বললেন যে সবাইকে ফিরিয়ে আনবেন।”
অন্যদিকে, গাজা সিটির ওপর নতুন করে তীব্র বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এই অভিযানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হবে। ইতিমধ্যেই গাজার কিছু অঞ্চল দুর্ভিক্ষগ্রস্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিতে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন শিশু। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুর্ভিক্ষজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ জনে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।