- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় যেকোনো স্থিতিশীলতা মিশন গঠনের আগে সেটির অবশ্যই “পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা” থাকতে হবে, যাতে এটি কার্যকরভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে কাজ করতে পারে।
মঙ্গলবার দোহায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্ব সামাজিক উন্নয়ন সম্মেলনের ফাঁকে আল জাজিরা আরবির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গুতেরেস বলেন, ভয়াবহ দুর্ভোগ ও দুর্ভিক্ষের পর গাজায় যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা এখনো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে এবং এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “যে কোনো শান্তিরক্ষী বা স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠন করা হলে সেটির পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা থাকতে হবে— যাতে গাজার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কার্যকরভাবে সমন্বয় করা যায়।”
গাজায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ। তবে বাহিনীতে কোন কোন দেশ থাকবে, তা নিয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা তুরস্ককে কোনোভাবেই ওই বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে দেবে না। তুরস্ক, যারা গাজার যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী এবং ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযানকে বারবার নিন্দা জানিয়ে এসেছে, সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ করতে ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানায়।
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়া কোনো স্থিতিশীলতা বাহিনী বৈধ হতে পারে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, “জাতিসংঘের ম্যান্ডেট ছাড়া এই বাহিনী গঠন করা হলে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হবে।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বর্তমান যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। “ইসরায়েল সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু একপর্যায়ে আমেরিকানরা বুঝতে পারে, যথেষ্ট হয়েছে,” বলেন গুতেরেস।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। একে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও স্পষ্ট অঙ্গীকার জরুরি।”