Tuesday, October 14, 2025

গাজায় অপুষ্টিতে শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু, হামলার একদিনেই নিহত ৩৫


ছবিঃ আল-মাওয়াসির একটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শিবিরে পরিবারের তাঁবুতে অপুষ্টির লক্ষণযুক্ত সাত বছর বয়সী আহমেদ এল-শেখ ঈদ বসে আছে।(সংগৃহীত । আবদেল করিম হানা/এপি )

ইসরায়েলের অবরোধে দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে গাজা উপত্যকার মানবিক সংকট। খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু ও একটি ৪০ দিনের নবজাতক। এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা আরবির বরাতে গাজার স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র।

অবরোধের পাশাপাশি মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজন ছিলেন সাহায্য প্রত্যাশী সাধারণ মানুষ।

এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে প্রথমবারের মতো ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর একদিন পরই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।


গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি সংকটে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস বিভাগ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে পড়েছে। রোগীরা এখন মৃত্যুর মুখোমুখি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, সোমবার দেইর আল-বালাহ শহরে সংস্থার কর্মীদের আবাসস্থলে ইসরায়েলি বাহিনী তিনবার হামলা চালায়।


জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (UNRWA) জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকে ইসরায়েল যে পরিমাণ খাদ্য ও সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। এর ফলে গাজায় এক কোটিরও বেশি শিশু প্রতিনিয়ত অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।


ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় চলমান অভিযানে তাদের এক রিজার্ভ সেনাও নিহত হয়েছেন।


গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি অভিযান এবং সম্পূর্ণরূপে আরোপিত অবরোধ এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অঞ্চলটিকে। শিশু ও সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অবরোধ প্রত্যাহার ও জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।


Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন